মূল্য ৫.০০ টাকা মাত্র
শুধুমাত্র খাদ্য গ্রহণ, নিদ্রা এবং যৌন জীবনে যার সন্তুষ্টি, যার জীবনের
পরিধি এর বাইরে যায় না - যার জীবন - স্বার্থকতা মানে হচ্ছে আরও বেশী ভোগ, তার জীবনকে
মার্কস বলেছিলেন গরুর জীবন। পশুর জীবনের সাথে তার পার্থক্য কি ? পশুর সঙ্গে মানুষের
তফাৎ, মানুষ সৃষ্টিশীল,
মানুষ নিজের জীবনকে পরিবর্তন করতে পারে। মানুষ
প্রকৃতির নিয়ম জেনে তাকে নিজের নিয়ন্ত্রণে এনে মানব সমাজকে উন্নততর অবস্থানে নিয়ে যেতে
পারে। মানুষ শুধু নিজেকে নয়, পরিপার্শ্বকে পরিবর্তন করে, করতে চেষ্টা করে। যে সমাজ
আর পরিপার্শ্বের মধ্যে আমরা বসবাস করি সেখানে যে নির্বিকার থাকতে পারে তার সঙ্গে পশুর
জীবনের পার্থক্য নেই। নিজেদের মধ্যকার ঘুমন্ত সৃষ্টিশীলতা, উদ্যম এবং মানবিক গুণাবলীকে
শৃংখলমুক্ত করার এই সময়। মহাক্ষমতাধর মানুষ যদি জেগে না উঠে তবে পরাক্রমশালী অমানুষের
বীভৎস থাবার নীচে
তাকে পীষ্ট হতেই হবে। আজকের তরুণ নিশ্চয়ই সেই মানুষ, যে এ অবস্থাকে কোন মতেই মেনে নেবে
না।
- আনু মুহাম্মদ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন