পৃষ্ঠাসমূহ

শুক্রবার, ২৬ নভেম্বর, ২০২১

জুম্মকণ্ঠ

* বইটির পিডিএফ কপি পেতে ক্লিক করুন এখানে


সম্পাদকীয় নোট:

হিল লিটারেচার ফোরামের পুরাতন প্রকাশনা ‘জুম্মকণ্ঠ’ অবশেষে আপলোড করা হলো। ফোরামের অপর দু’টি প্রকাশনা রাডার ও স্যাটেলাইট সরকার কর্তৃক পর পর নিষিদ্ধ হওয়ার পর এটি প্রকাশ করা হয়েছিল। এর একটি মাত্র সংখ্যা প্রকাশের পর আর ছাপা হয়নি। তবে হিল লিটারেচার ফোরামের সাথে জড়িতরা পার্বত্য চট্টগ্রামের অন্য সংগঠনের সাথে যুক্ত থেকে তাদের প্রকাশনার কাজ চালিয়ে যান।

“হিল লিটারেচার” নামে হিল লিটারেচার ফোরাম থেকে সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিষয়ক একটি প্রকাশনাও ছাপা হয়েছিল। তবে এটিও একটি মাত্র সংখ্যা প্রকাশের পর বন্ধ হয়ে যায়। এই সংখ্যাটিও পরবর্তীতে এখানে তুলে দেয়ার চেষ্টা করা হবে।

মূলত: হিল লিটারেচার ফোরামের পুরাতন প্রকাশনাগুলো ইন্টারনেটের মাধ্যমে সবার কাছে সহজলভ্য করে দেয়ার উদ্দেশ্যে আমাদের এই উদ্যোগ।

আশাকরি গত শতকের ৯০ দশকে পার্বত্য চট্টগ্রামের রাজনৈতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে ধারণা পেতে বর্তমান প্রজন্মকে হিল লিটারেচার ফোরামের প্রকাশনাগুলো কিছুটা হলেও সাহায্য করবে।

আমাদের উদ্যোগ ও প্রকাশনাগুলো সম্পর্কে কোন মতামত, সমালোচনা ও পরামর্শ থাকলে তা জানানোর অনুরোধ থাকলো।

২৬ নভেম্বর ২০২১

রবিবার, ১৭ জুন, ২০১৮

স্যাটেলাইট


* বইটির পিডিএফ কপি পেতে ক্লিক করুন এখানে


স্যাটেলাইট

সম্পাদকীয় নোট:
হিল লিটারেচার ফোরামের পুরাতন প্রকাশনা স্যাটেলাইট আপলোড করা হলো। এটির একটি মাত্র সংখ্যা প্রকাশিত হয়েছিল ১৯৯২ সালের ৬ অক্টোবর, ফোরামের আগেকার প্রকাশনা রাডার নিষিদ্ধ হওয়ার পর।
স্যাটেলাইট এর এই একটি সংখ্যা প্রকাশের পরই সরকার তার পরবর্তী সকল সংখ্যা নিষিদ্ধ করে দেয়। ফলে এই নামে আর ফোরাম প্রকাশনা অব্যাহত রাখতে পারেনি।

এই সংখ্যার লেখাগুলোর মধ্যে দু'টি গুরুত্বপূর্ণ বিবেচিত হতে পারে। একটি হলো ‘স্বায়ত্তশাসন মনে কি বিচ্ছিন্নতাবাদ?’ দ্বিতীয়টি ‘সংরক্ষিত বনাঞ্চল গঠন: উচ্ছেদ নীতির এক নতুন কৌশল’। এছাড়া দৈনিক ভোরের কাগজ থেকে পুনঃমুদ্রিত সলিমুল্লাহ খানের ‘পার্বত্য চট্টগ্রামে রাজনৈতিক সমাধান প্রসঙ্গে’ লেখাটি এখনও তার প্রাসঙ্গিকতা হারায়নি। এই নিবন্ধে তিনি ‘গণতন্ত্রের অন্যতম স্তম্ভ  জাতির আত্মনিয়ন্ত্রণ নীতির ভিত্তিতে’  পাহাড়ি জাতিগুলোর সাথে বাঙালি জাতির ‘সম্পর্ক পাতার’ আহ্বান জানিয়েছেন এবং বলেছেন, ‘১৯৭২ সনে শেখ মুজিবের কাছে মানবেন্দ্র লারমা যে চারটি মূল দাবি তুলে ধরেছিলেন সেগুলি স্বীকার করে নেয়াই ছিল বুদ্ধিমানের কাজ।’

পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকার আন্দোলনকে এক সময় শাসকগোষ্ঠী বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন বলে অপপ্রচার চালিয়েছিল। তাদের সেই বক্তব্য খণ্ডন করতেই ‘স্বায়ত্তশাসন মানে কি বিচ্ছিন্নতাবাদ?’ প্রবন্ধটি লেখা হয়। অপরদিকে তকালীন বিএনপি সরকারের পার্বত্য চট্টগ্রামে সংরক্ষিত বনাঞ্চল গঠনের সিদ্দান্তকে জনগণের আন্দোলনের প্রেক্ষিত থেকে বিচার করা হয়েছে।

আশাকরি আজকের দিনের পাঠকরা স্যাটেলাইট পড়ে ৯০ দশকের আন্দোলনের উত্তাল দিনগুলো সম্পর্কে কিছুটা হলেও ধারণা পাবেন। ধন্যবাদ।

বুধবার, ২৩ মে, ২০১৮

রাডার লোগাং গণহত্যা সংখ্যা


* পিডিএফ কপি পেতে ক্লিক করুন এখানে


রাডার লোগাং গণহত্যা সংখ্যা

সম্পাদকীয় নোট
রাডারের লোগাং গণহত্যা সংখ্যা (চতুর্থ) আপলোড করা হলো। ১ জুন ১৯৯২ প্রকাশিত এই সংখ্যাই রাডার নামে হিল লিটারেচার ফোরামের সর্বশেষ প্রকাশনা, কারণ তকালীন সরকার এই সংখ্যার পরবর্তী সকল সংখ্যা নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল। তবে হিল লিটারেচার ফোরাম স্যাটেলাইট নামে পরবর্তী প্রকাশনা বের করে, যা পরে এখানে আপলোড করা হবে।
রাডার ‘লোগাং গণহত্যা সংখ্যা ১৯৯২ সালের ১০ এপ্রিল সংঘটিত রোমহর্ষক লোগাং গণহত্যার পর প্রকাশিত হয়েছিল।
এই সংখ্যা পাঠে তকালীন পার্বত্য চট্টগ্রামের রাজনৈতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে কিছুটা হলেও ধারণা পাওয়া যাবে। সে সময় সরকার বিশেষত পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের নেতৃত্বে পড়ে ওঠা গণ আন্দোলন দমনের জন্য জেল-জুলুম জারী রাখে এবং উগ্রসাম্প্রয়িক সেটলার সংগঠনগুলোকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে। এর পরিণতিতে রাঙ্গামাটি শহরে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে  হামলা ও পাহাড়ি বসতিতে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সংঘটিত হয়। তখনকার এই বাস্তবতা রাডার অত্যন্ত বিশ্বস্ততার সাথে তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছিল।
রাডারের পূর্বের সংখ্যাগুলোর মতো এই সংখ্যায়ও ভুল বানান সংশোধন করা হয়েছে। তারপরও কোথাও কোন ভুল চোখে পড়লে তা ধরিয়ে দেয়ার অনুরোধ থাকলো।
----------------

রবিবার, ৭ জানুয়ারী, ২০১৮

রাডার বৈসাবি সংখ্যা (সম্পূর্ণ)



* পিডিএফ কপি পেতে ক্লিক করুন এখানে


ব্লগ সম্পাদকের নোট
রাডার বৈসাবি ’৯২ সংখ্যা আপলোড করা হলো। বিজয় দিবস সংখ্যার পর এই সংখ্যাটি প্রকাশিত হয়েছিল ১৯৯২ সালের ১৩ এপ্রিল। এই সংখ্যায় প্রখ্যাত কথা সাহিত্যিক ও প্রগতিশীল লেখক আখতারুজ্জামান ইলিয়াস ও বাংলাদেশের প্রধান ও স্বনামধন্য কবি শামসুর রাহমনের সাক্ষাতকার ছাপা হওয়ায় তা বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছিল। (বর্তমানে তারা দু’জনেই প্রয়াত)। সে সময় পার্বত্য চট্টগ্রামের ন্যায়সঙ্গত আন্দোলনের প্রতি এই দুই মহান বাঙালির সমর্থন জুম্ম জনগণকে বিপুলভাবে অনুপ্রাণিত ও উজ্জ্বীবিত করেছিল।

বর্তমান সংখ্যায় প্রকাশিত লেখাগুলো কিছু বানানের পরিবর্তন ও সংশোধন ছাড়া হুবহু তুলে দেয়া হয়েছে। তবে দু’একটি লেখায় মুদ্রণজনিত ভুল সংশোধন করা হয়েছে। তারপরও যদি কোন ভুল আপনাদের নজরে আসে তাহলে আমাদের জানালে খুশী হবো। আশাকরি এ সংখ্যাটি আপনাদের ভালো লাগবে।]



রাডার
হিল লিটারেচার ফোরামের একটি অনিয়মিত প্রকাশনা
১৩ই এপ্রিল ’৯২
বৈসাবি সংখ্যা


জাগো জনতা গড়ো প্রতিরোধ

সন্ত্রাসকারীরা চিহ্নিত, নামমাত্র শাস্তি ভোগ

সাক্ষাতকার : আখরুজ্জামান ইলিয়াস ও শামসুর রহমান

গণ-আদালতের কাঠগড়ায় গোলাম আজম ও পার্বত্য চট্টগ্রাম প্রসঙ্গ

CHT কমিশনের প্রেস রিলিজ

দি কেস অব পলিটিকেল মাইগ্রেসন ইন দ্যা হিল ট্রাক্টস





 পাতা: ২
----------


চিঠিপত্র

আমরাও আছি রাডারের সুখে-দুঃখে-বেদনাতে

প্রিয় সম্পাদক,   
যুদ্ধ শুরু হবে এবার। এ যুদ্ধ অন্যায়, অত্যাচার আর সকল প্রতিক্রিয়াশীলতার বিরুদ্ধে। এ যুদ্ধ ন্যায়ের যুদ্ধ Ñ মুক্তির লড়াই। আমরা আর ভয় করি না। কারণ “রাডার” এ যুদ্ধের নেতৃত্বে। আমরা ঘরে ঘরে প্রতিরোধের দুর্গ গড়ে তুলবো এবার। যত্তসব বাধার প্রাচীর ছিন্ন করে এগিয়ে যাবো মুক্তির সোনালী জগতে।  
“রাডার” তুমি এ যুদ্ধের ডাক দাও। আমরা এ যুদ্ধে সাহসী সৈনিক হতে চাই। তোমার কোন ভয় নেই, আমরা আছি তোমার সুখে-দুঃখে-বেদনাতে।                                                                                                                               
- ছোটন/মারিশ্যা  
[এ যুদ্ধে বিজয় আমাদের অনিবার্য]

প্রবাসী জুম্মদের জন্য একটি বিভাগ খোলা হোক

প্রিয় সম্পাদক/       
আপনাদের অনিয়মিত প্রকাশনা “রাডার” পড়ে খুব ভালো লাগলো। হিল লিটারেচার ফোরাম এবং রাডার প্রকাশনা কমিটিকে অনেক ধন্যবাদ। আমার বিশ্বাস, আধুনিক প্রযুক্তিতে নির্মিত রাডার-এ যেমন শত্রু বাহিনীর গতিবিধি ও অবস্থান ¯পষ্টভাবে ধরা পড়ে, তেমনিভাবে পার্বত্য চট্টগ্রামের জুম্ম জনগণের ওপর অন্যায়, অত্যাচার ও সেই সাথে প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ সংগ্রামের প্রকৃত চিত্র আপনাদের রাডারে ভেসে উঠবে।
আমি রাডারে ত্রিপুরা, মিজোরাম, অরুণাচল এবং আসামে বসবাসরত জুম্ম জনগণের অবস্থা সম্পর্কে লিখতে চাই। অনুমতি দিলে বাধিত হব। শেষে অনুরোধ, প্রবাসী জুম্মদের জন্য রাডারে একটি বিভাগ খোলা হোক।
- বি, দেওয়ান/ত্রিপুরা/ভারত       
[বিঃ দ্রঃ চিঠিটি ইংরেজিতে লেখা। আমরা এখানে তা অনুবাদ করে ছাপালাম]  
[প্রবাসী জুম্মদের কাছ থেকে আরো সাড়া পেলে অবশ্যই প্রবাসীর কলাম খোলা হবে। রাডারে লেখার দুয়ার সবসময় খোলা]

“রাডার” দেশবাসীর কাছে সত্যকে তুলে ধরুক

প্রিয় সম্পাদক,  
রাডার প্রকাশিত হওয়ায় আমি খুব আনন্দিত। কারণ, যে সময় উর্দি সম্রাটদের দৌরাত্ম্যে সাধারণ জনগণ বাক্হারা, কন্ঠরুদ্ধ- তখন পার্বত্য চট্টগ্রামের সঠিক অবস্থা তুলে ধরতে এবং শোষণ-বঞ্চনা ও নির্যাতনের কথা বলতে রাডারের সাহসী উদ্যোগ সত্যিই সমীহযোগ্য। সত্য সবার কাছে প্রিয় নয়। এজন্য ইতিমধ্যেই অনেকের গা জ্বালা শুরু হয়েছে। এরা সত্যকে ভয় পায়। এ জন্য এরা পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রকৃত চিত্র দেশের আপামর জনগণের কাছে প্রকাশ করতে দেয়নি এবং এখনো দিচ্ছে না। আশাকরি, “রাডার” দেশবাসীর কাছে পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রকৃত অবস্থাকে তুলে ধরতে পারবে।
- তাপস ত্রিপুরা (তপু)/রাঙ্গুনিয়া কলেজ।                                                                                                                

“রাডার” হোক মুক্তির ঔষুধ

সম্পাদকবাবু/                                                                                                                                           জনতার রাডারের মাধ্যমে জনতার কাছে গেয়ে যাইঃ 
“আয় আয় ছুটে আয় সজাগ জনতা 
আয় আয় নিয়ে আয় নতুন বারতা। 
রামের দেশেতে সেই রাবণ বধিতে 
যায় যদি যাক জীবনটাই যাক।”                                                                                                                  
দুঃখ, ঘৃণা ও ক্ষোভে বুক ভেঙে গেছে অনেক আগে। কিন্তু হৃদয় ভাঙতে দিইনি। আজ প্রাণভরে বহুদিনের কাংখিত রাডারের আস্বাদ পেয়ে এই দগ্ধ হৃদয় ভরে উঠেছে নতুন স্বপ্নে।    
আমি এখন দুরারোগ্য ব্যাধিতে (যক্ষা) আক্রান্ত। গায়ে প্রচ- জ্বর। “রাডার” পড়ে অনেক সুস্থ বোধ করছি। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, “রাডার” আমাদের “সমাজের দুরারোগ্য ব্যাধিতে” নিরাময়কারী ঔষুধের কাজ করবে। “রাডার” হোক “রোগাক্রান্ত সমাজের” এক মহৌষধ।                           
- রূপায়ন চাকমা/নানিয়াচর
[দঃখ, ঘৃণা এবং ক্ষোভকে রূপান্তরিত করতে হবে প্রতিবাদের ভাষায়]

রাডারকে পরামর্শ

বাবু সম্পাদক/                                                                                                                                          সংগ্রামী অভিনন্দন। রাডার নিপীড়িত-নির্যাতিত পাহাড়ি জনগণের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। তাই সুবিধাবাদী দালালদের কাছে তা আতংক হয়ে দাঁড়িয়েছে। রাডারের সৌন্দর্য্য রক্ষার সুবিধার্থে সংবাদদাতা/রিপোর্টার-এর বিজ্ঞাপনটা আলাদা কাগজে দেয়ার জন্য “রাডার প্রকাশনা কমিটি” -কে অনুরোধ করছি। শেষে রাডারের মঙ্গল কামনায়।     
“সুবিধাবাদী দুলাগোষ্ঠী নিপাত যাক         
নির্যাতিত পাহাড়ি জনগণ মুক্তি পাক”
- বিভাস চাকমা/কুমিল্লা  
[আপনার পরামর্শের জন্য ধন্যবাদ]

রসদের কার্টুন চাই

প্রিয় সম্পাদক/     
আপনাকে ও “রাডার প্রকাশনা কমিটি”-কে সংগ্রামী শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি। ১৬ই ডিসেম্বর ’৯১ বিজয় দিবস সংখ্যায় প্রকাশিত কার্টুন ছবিটা অত্যন্ত অর্থবহ ও উপভোগ্য হয়েছে।                                                                                                      আমাদের সকলকে এভাবে সেনাশাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে হবে। বজ্রকন্ঠে নূর হোসেনের মতো আওয়াজ তুলতে হবে “সেনাশাসন নিপাত যাক গণতন্ত্র মুক্তি পাক।” আগামীতে আমরা আরো এ ধরনের কার্টুন চাই।
- জুয়েল (র)/কাট্টলী/মারিশ্যা
 [আশাকরি নিয়মিত কার্টুন পেয়ে যাবেন]

রাডার ইংরেজিতেও প্রকাশিত হোক

শ্রদ্ধেয় সম্পাদক/                                                                                                                                                  পার্বত্য চট্টলার রক্তিম চেতনা সমৃদ্ধ নব প্রজন্মের সূর্য সন্তানদের পক্ষ থেকে আপনাদের জানাচ্ছি বিপ্লবী অভিনন্দন। আমরা আপনাদের রাডারের ডাকে সাড়া দিয়েছি।  
যুগ যুগ ধরে পার্বত্য চট্টগ্রামের অধিকারহারা পাহাড়ি জনগণের দুঃখ বেদনা ও ক্ষোভের কথাগুলো প্রকাশের ভাষা পায়নি। বার বার আমাদের কণ্ঠকে রুদ্ধ করে দেয়া হয়েছে। আপনারা অশুভশক্তির রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে সত্য উচ্চারণে যে বীরত্ব ও সাহসের নজির সৃষ্টি করেছেন তাতে জুম্ম জনগণ আশান্বিত হয়েছে। এইভাবে সারা বিশ্ববাসী তথা সভ্যতার কাছে আমাদের ওপর মধ্যযুগীয় বর্বর অত্যাচার উপীড়নের কথা তুলে ধরার জন্য রাডার ইংরেজীতেও প্রকাশ করা হোক। 
- ডুনান্ট চাকমা (শিপ্লব)/নানিয়াচর
 [হ্যাঁ, রাডার ইংরেজিতেও ছাপার পরিকল্পনা রয়েছে। সময় এবং আর্থিক সুবিধার ব্যাপার মাত্র]

[আরো যারা লিখেছেন- (১) তিনাঙী, সৈকত, লোটাস/খাগড়াছড়ি, (২) জবাব কুসুম, বসন্ত/ঘাগড়া, (৩) সুভাষদত্ত/মারিশ্যা, (৪) সুশীল বিকাশ,/লোগাং, (৫) শাক্য উজ্জ্বল (শুভ্র)/ স্যার আশুতোষ কলেজ, চট্টগ্রাম (৬) টি, মারমা/ রাইখালী, চন্দ্রঘোনা এবং আরো অনেকে।]                                                                                     



পাতা: ৩
-----------


সম্পাদক              : মি : সুপ্রিয়
নির্বাহী সম্পাদক     : মি : মানবমিত্র
প্রধান প্রতিবেদক     : মি : সৌরভ সিজেল
সার্কুলেশন ম্যানেজার : মি : পল্লব
অংকন শিল্পী           : মি : রসদ
শিল্প নির্দেশনা          : মি : চাকমা ধীরব খীসা

যোগাযোগ (বার্তা ও চিঠি) :-
৩২০, পূর্ব বাড়ী, জগন্নাথ হল, ঢাঃ বিঃ।

প্রাপ্তিস্থান :-
পাঠক সমাবেশ, আজিজ কো-অপারেটিভ মার্কেট, মুজিব হলের বিপরীতে, ঢাকা।
দীপ্র প্রকাশনী, ৬৮/২ পুরানা পল্টন, বাসস-এর নীচে।
কারেন্ট বুক সেন্টার, চট্টগ্রাম।
৩৫৬, নবাব অব্দুল লতিফ হল, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়।
৪১৯/বি, শামসুল হক হল, বাংলাদেশ কৃষি বিঃ ময়নসিংহ।

সম্পাদকীয়
·       সুপ্রিয় পাঠক, “বৈ-সা-বি” উপলক্ষে আপনাদের জানাই রক্তিম শুভেচ্ছা। সাড়ে তিন মাস পর আবার জনতার অন্তরের কথা বলতে রাডার বের হলো। এ দীর্ঘ সাড়ে তিন মাস আমরা ছট্ফট্ করেছিলাম দুর্ভাগা জনতার কথা বলতে। জানি, আপনারাও অধীর আগ্রহে সীমাহীন ধৈর্য্য নিয়ে অপেক্ষা করেছিলেন আমাদের। কিন্তু, বিভিন্ন অসুবিধা ও সীমাবদ্ধতার কারণে এ সংযোগ রক্ষা করা সম্ভব হয়নি। এর জন্য আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত।
·       প্রিয় পাঠক, বাংলা ক্যালে-ারের পৃথিবী সূর্যকে প্রদক্ষিণ করে কালের আবর্তে হারিয়ে দিলো আরো একটি বছর। সেই সাথে পার্বত্য চট্টগ্রামের স্বাধিকারহারা দুর্ভাগা জনগণও অত্যাচার-উপীড়নের আবর্তে আবর্তিত হয়ে হারিয়েছে অনেক তাজা প্রাণ, অনিকা, অঞ্জনা, অঞ্জলী ও বটুদের মতো নাম জানা-অজানা অনেক মা-বোন হারিয়েছে ইজ্জত, প্রদীপন, পুলক, অনিমেষ -এর মত অনেক প্রাণোচ্ছল তগবগে তরুণ পরেছে “হাতকড়া” নামক সহজলভ্য অলংকার। এই দুঃসহ নিপীড়ন-নির্যাতনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে ঝাঁপিয়ে পড়েছে অজস্র পাহাড়ি ছাত্র-জনতা। প্রতিবাদের লক্ষ ভাষায় কেঁপে উঠেছিল চিম্বুক, ফুরমৌন, ভগবানটিলা। ঢাকা, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান ও রাঙ্গামাটির রাজপথ প্রকম্পিত হয়েছিল প্রতিবাদী ছাত্র-জনতার পদভারে। কিন্তু তবুও আমরা সেই কুসিত অত্যাচার-উপীড়নের আবর্ত থেকে বেরিয়ে আসতে পারিনি এখনো।  পারিনি হতে স্বাধীন, শৃংখলমুক্ত মানুষ। এখনো আমাদের সবুজ পাহাড়ের কোলে শান্তির কপোত ওড়েনি। এখনো আমরা আতংকিত ঘুমে দীর্ঘ দুঃস্বপ্নাচ্ছন্ন। আমাদের অনেকেই এখনো মাটির অন্ধকার প্রকোষ্টে নরক যন্ত্রণায় কাতর। স্যাঁতস্যাঁতে কারা প্রাচীরে এখনো আমাদের ভাইয়েরা তন্দ্রাহীন রাত পোহায়। দুঃখ-বেদনা ও দুঃসহ গ্লানি নিয়ে ত্রিপুরা রাজ্যের জীর্ণ শরণার্থী কুটিরে এখনো আমাদের হাজার হাজার জুম্ম নর-নারী প্রিয় জন্মভূমিতে ফেরার প্রহর গোনে।
·       তাই বিঝু আনন্দের নয়। এই বিঝু নব চেতনা জাগরণের দিন। প্রতিবাদের লক্ষ মুষ্টিবদ্ধ হাত উর্ধ্বে তুলে ধরে শপথ নেয়ার দিন। সেই বিঝুই হবে প্রকৃত বিঝু, সেই সাংগ্রাই হবে সবচেয়ে আনন্দঘন, সেই বৈসুক হবে সবচেয়ে বেশী কোলাহলপূর্ণ- যেদিন আমাদের বুকে আর নিপীড়ন নির্যাতনের আশংকা থাকবে না; যেদিন সবাই আমরা আবার আমাদের প্রিয় পার্বত্য ভূমিতে মিলিত হতে পারবো। আমরা সেই কাংখিত বিঝু-সাংগ্রাই-বৈসুর জন্য এই বিঝু উসর্গ করতে চাই। সেই বৈ-সা-বির জন্য আজকের বিঝুতে আমরা ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ সংগ্রামে অবিচল, একনিষ্ট ও দৃঢ় থাকার অঙ্গীকার চাই।
·       প্রিয় পাঠক, লজ্জা শরমের মাথা খেয়ে বলছি আমরা নিদারুণ আর্থিক অনটনে ভূগছি। রাডার দেরীতে বেরুনোর এই মূল কারণ। তাই বছরের ক্রান্তিকালের উসবে দশ টাকার উপাত সহ্য করুন। দোহাই আমরা চাঁদাবাজ নই। বিনিময়ে দিই ঝরঝরে লেখায় সমৃদ্ধ তাজা রাডার।
·       শেষে বাংলা নববর্ষের প্রাণঢালা উঞ্চ ভালোবাসা।
-----------------------------------------------------------------------------------------
“হিল লিটারেচার ফোরাম” -এর পক্ষে “রাডার” প্রকাশনা কমিটি ও সম্পাদনা পরিষদ কর্তৃক প্রকাশিত ও প্রচারিত

রাডার(বৈসাবি সংখ্যা), ব্লগ সম্পাদকের নোট

রাডার
হিল লিটারেচার ফোরামের একটি অনিয়মিত প্রকাশনা
১৩ই এপ্রিল ’৯২
বৈসাবি সংখ্যা

[ব্লগ সম্পাদকের নোট: রাডার বৈসাবি ’৯২ সংখ্যা আপলোড করা হলো। বিজয় দিবস সংখ্যার পর এই সংখ্যাটি প্রকাশিত হয়েছিল ১৯৯২ সালের ১৩ এপ্রিল। এই সংখ্যায় প্রখ্যাত কথা সাহিত্যিক ও প্রগতিশীল লেখক আখতারুজ্জামান ইলিয়াস ও বাংলাদেশের প্রধান ও স্বনামধন্য কবি শামসুর রাহমনের সাক্ষাতকার ছাপা হওয়ায় তা বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছিল। (বর্তমানে তারা দু’জনেই প্রয়াত)। সে সময় পার্বত্য চট্টগ্রামের ন্যায়সঙ্গত আন্দোলনের প্রতি এই দুই মহান বাঙালির সমর্থন জুম্ম জনগণকে বিপুলভাবে অনুপ্রাণিত ও উজ্জ্বীবিত করেছিল।

বর্তমান সংখ্যায় প্রকাশিত লেখাগুলো কিছু বানানের পরিবর্তন ও সংশোধন ছাড়া হুবহু তুলে দেয়া হয়েছে। তবে দু’একটি লেখায় মুদ্রণজনিত ভুল সংশোধন করা হয়েছে। তারপরও যদি কোন ভুল আপনাদের নজরে আসে তাহলে আমাদের জানালে খুশী হবো। আশাকরি এ সংখ্যাটি আপনাদের ভালো লাগবে।]


রাডার(বৈসাবি সংখ্যা), প্রচ্ছদ

রাডার
হিল লিটারেচার ফোরামের একটি অনিয়মিত প্রকাশনা
১৩ই এপ্রিল ’৯২
বৈসাবি সংখ্যা



জাগো জনতা গড়ো প্রতিরোধ

সন্ত্রাসকারীরা চিহ্নিত, নামমাত্র শাস্তি ভোগ

সাক্ষাতকার : আখরুজ্জামান ইলিয়াস ও শামসুর রহমান

গণ-আদালতের কাঠগড়ায় গোলাম আজম ও পার্বত্য চট্টগ্রাম প্রসঙ্গ

CHT কমিশনের প্রেস রিলিজ

দি কেস অব পলিটিকেল মাইগ্রেসন ইন দ্যা হিল ট্রাক্টস

রাডার (বৈসাবি সংখ্যা), পাতা : ২

রাডার
হিল লিটারেচার ফোরামের একটি অনিয়মিত প্রকাশনা
১৩ই এপ্রিল ’৯২
বৈসাবি সংখ্যা


পাতা: ২


চিঠিপত্র

আমরাও আছি রাডারের সুখে-দুঃখে-বেদনাতে

প্রিয় সম্পাদক,   
যুদ্ধ শুরু হবে এবার। এ যুদ্ধ অন্যায়, অত্যাচার আর সকল প্রতিক্রিয়াশীলতার বিরুদ্ধে। এ যুদ্ধ ন্যায়ের যুদ্ধ Ñ মুক্তির লড়াই। আমরা আর ভয় করি না। কারণ “রাডার” এ যুদ্ধের নেতৃত্বে। আমরা ঘরে ঘরে প্রতিরোধের দুর্গ গড়ে তুলবো এবার। যত্তসব বাধার প্রাচীর ছিন্ন করে এগিয়ে যাবো মুক্তির সোনালী জগতে।  
“রাডার” তুমি এ যুদ্ধের ডাক দাও। আমরা এ যুদ্ধে সাহসী সৈনিক হতে চাই। তোমার কোন ভয় নেই, আমরা আছি তোমার সুখে-দুঃখে-বেদনাতে।                                                                                                                               
- ছোটন/মারিশ্যা  
[এ যুদ্ধে বিজয় আমাদের অনিবার্য]

প্রবাসী জুম্মদের জন্য একটি বিভাগ খোলা হোক

প্রিয় সম্পাদক/       
আপনাদের অনিয়মিত প্রকাশনা “রাডার” পড়ে খুব ভালো লাগলো। হিল লিটারেচার ফোরাম এবং রাডার প্রকাশনা কমিটিকে অনেক ধন্যবাদ। আমার বিশ্বাস, আধুনিক প্রযুক্তিতে নির্মিত রাডার-এ যেমন শত্রু বাহিনীর গতিবিধি ও অবস্থান ¯পষ্টভাবে ধরা পড়ে, তেমনিভাবে পার্বত্য চট্টগ্রামের জুম্ম জনগণের ওপর অন্যায়, অত্যাচার ও সেই সাথে প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ সংগ্রামের প্রকৃত চিত্র আপনাদের রাডারে ভেসে উঠবে।
আমি রাডারে ত্রিপুরা, মিজোরাম, অরুণাচল এবং আসামে বসবাসরত জুম্ম জনগণের অবস্থা সম্পর্কে লিখতে চাই। অনুমতি দিলে বাধিত হব। শেষে অনুরোধ, প্রবাসী জুম্মদের জন্য রাডারে একটি বিভাগ খোলা হোক।
- বি, দেওয়ান/ত্রিপুরা/ভারত       
[বিঃ দ্রঃ চিঠিটি ইংরেজিতে লেখা। আমরা এখানে তা অনুবাদ করে ছাপালাম]  
[প্রবাসী জুম্মদের কাছ থেকে আরো সাড়া পেলে অবশ্যই প্রবাসীর কলাম খোলা হবে। রাডারে লেখার দুয়ার সবসময় খোলা]

“রাডার” দেশবাসীর কাছে সত্যকে তুলে ধরুক

প্রিয় সম্পাদক,  
রাডার প্রকাশিত হওয়ায় আমি খুব আনন্দিত। কারণ, যে সময় উর্দি সম্রাটদের দৌরাত্ম্যে সাধারণ জনগণ বাক্হারা, কন্ঠরুদ্ধ- তখন পার্বত্য চট্টগ্রামের সঠিক অবস্থা তুলে ধরতে এবং শোষণ-বঞ্চনা ও নির্যাতনের কথা বলতে রাডারের সাহসী উদ্যোগ সত্যিই সমীহযোগ্য। সত্য সবার কাছে প্রিয় নয়। এজন্য ইতিমধ্যেই অনেকের গা জ্বালা শুরু হয়েছে। এরা সত্যকে ভয় পায়। এ জন্য এরা পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রকৃত চিত্র দেশের আপামর জনগণের কাছে প্রকাশ করতে দেয়নি এবং এখনো দিচ্ছে না। আশাকরি, “রাডার” দেশবাসীর কাছে পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রকৃত অবস্থাকে তুলে ধরতে পারবে।
- তাপস ত্রিপুরা (তপু)/রাঙ্গুনিয়া কলেজ।                                                                                                                

“রাডার” হোক মুক্তির ঔষুধ

সম্পাদকবাবু/                                                                                                                                           জনতার রাডারের মাধ্যমে জনতার কাছে গেয়ে যাইঃ 
“আয় আয় ছুটে আয় সজাগ জনতা 
আয় আয় নিয়ে আয় নতুন বারতা। 
রামের দেশেতে সেই রাবণ বধিতে 
যায় যদি যাক জীবনটাই যাক।”                                                                                                                  
দুঃখ, ঘৃণা ও ক্ষোভে বুক ভেঙে গেছে অনেক আগে। কিন্তু হৃদয় ভাঙতে দিইনি। আজ প্রাণভরে বহুদিনের কাংখিত রাডারের আস্বাদ পেয়ে এই দগ্ধ হৃদয় ভরে উঠেছে নতুন স্বপ্নে।    
আমি এখন দুরারোগ্য ব্যাধিতে (যক্ষা) আক্রান্ত। গায়ে প্রচ- জ্বর। “রাডার” পড়ে অনেক সুস্থ বোধ করছি। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, “রাডার” আমাদের “সমাজের দুরারোগ্য ব্যাধিতে” নিরাময়কারী ঔষুধের কাজ করবে। “রাডার” হোক “রোগাক্রান্ত সমাজের” এক মহৌষধ।                           
- রূপায়ন চাকমা/নানিয়াচর
[দঃখ, ঘৃণা এবং ক্ষোভকে রূপান্তরিত করতে হবে প্রতিবাদের ভাষায়]

রাডারকে পরামর্শ

বাবু সম্পাদক/                                                                                                                                          সংগ্রামী অভিনন্দন। রাডার নিপীড়িত-নির্যাতিত পাহাড়ি জনগণের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। তাই সুবিধাবাদী দালালদের কাছে তা আতংক হয়ে দাঁড়িয়েছে। রাডারের সৌন্দর্য্য রক্ষার সুবিধার্থে সংবাদদাতা/রিপোর্টার-এর বিজ্ঞাপনটা আলাদা কাগজে দেয়ার জন্য “রাডার প্রকাশনা কমিটি” -কে অনুরোধ করছি। শেষে রাডারের মঙ্গল কামনায়।     
“সুবিধাবাদী দুলাগোষ্ঠী নিপাত যাক         
নির্যাতিত পাহাড়ি জনগণ মুক্তি পাক”
- বিভাস চাকমা/কুমিল্লা  
[আপনার পরামর্শের জন্য ধন্যবাদ]

রসদের কার্টুন চাই

প্রিয় সম্পাদক/     
আপনাকে ও “রাডার প্রকাশনা কমিটি”-কে সংগ্রামী শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি। ১৬ই ডিসেম্বর ’৯১ বিজয় দিবস সংখ্যায় প্রকাশিত কার্টুন ছবিটা অত্যন্ত অর্থবহ ও উপভোগ্য হয়েছে।                                                                                                      আমাদের সকলকে এভাবে সেনাশাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে হবে। বজ্রকন্ঠে নূর হোসেনের মতো আওয়াজ তুলতে হবে “সেনাশাসন নিপাত যাক গণতন্ত্র মুক্তি পাক।” আগামীতে আমরা আরো এ ধরনের কার্টুন চাই।
- জুয়েল (র)/কাট্টলী/মারিশ্যা
 [আশাকরি নিয়মিত কার্টুন পেয়ে যাবেন]

রাডার ইংরেজিতেও প্রকাশিত হোক

শ্রদ্ধেয় সম্পাদক/                                                                                                                                                  পার্বত্য চট্টলার রক্তিম চেতনা সমৃদ্ধ নব প্রজন্মের সূর্য সন্তানদের পক্ষ থেকে আপনাদের জানাচ্ছি বিপ্লবী অভিনন্দন। আমরা আপনাদের রাডারের ডাকে সাড়া দিয়েছি।  
যুগ যুগ ধরে পার্বত্য চট্টগ্রামের অধিকারহারা পাহাড়ি জনগণের দুঃখ বেদনা ও ক্ষোভের কথাগুলো প্রকাশের ভাষা পায়নি। বার বার আমাদের কণ্ঠকে রুদ্ধ করে দেয়া হয়েছে। আপনারা অশুভশক্তির রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে সত্য উচ্চারণে যে বীরত্ব ও সাহসের নজির সৃষ্টি করেছেন তাতে জুম্ম জনগণ আশান্বিত হয়েছে। এইভাবে সারা বিশ্ববাসী তথা সভ্যতার কাছে আমাদের ওপর মধ্যযুগীয় বর্বর অত্যাচার উপীড়নের কথা তুলে ধরার জন্য রাডার ইংরেজীতেও প্রকাশ করা হোক। 
- ডুনান্ট চাকমা (শিপ্লব)/নানিয়াচর
 [হ্যাঁ, রাডার ইংরেজিতেও ছাপার পরিকল্পনা রয়েছে। সময় এবং আর্থিক সুবিধার ব্যাপার মাত্র]

[আরো যারা লিখেছেন- (১) তিনাঙী, সৈকত, লোটাস/খাগড়াছড়ি, (২) জবাব কুসুম, বসন্ত/ঘাগড়া, (৩) সুভাষদত্ত/মারিশ্যা, (৪) সুশীল বিকাশ,/লোগাং, (৫) শাক্য উজ্জ্বল (শুভ্র)/ স্যার আশুতোষ কলেজ, চট্টগ্রাম (৬) টি, মারমা/ রাইখালী, চন্দ্রঘোনা এবং আরো অনেকে।]