পৃষ্ঠাসমূহ

মঙ্গলবার, ২ মে, ২০১৭

রাডার (বিজয় দিবস সংখ্যা): পৃষ্ঠা: ২০ - ২২

সাক্ষাতকার
[পার্বত্য চট্টগ্রামের সমস্যা নিঃসন্দেহে একটি জাতীয় রাজনৈতিক সমস্যা। সঙ্গত কারণেই আমরা মনে করি এ সমস্যা সমাধানের জন্য দেশের সচেতন ছাত্র, বুদ্ধিজীবী, সাংস্কৃতিকর্মীসহ সকল প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলগুলোর একটি বিরাট ভূমিকা রয়েছে। এই ভূমিকাকে সামনে রেখে পার্বত্য চট্টগ্রামের সমস্যা ও তার সমাধান সম্পর্কে কে কী ভাবছেন তা পাঠকের সামনে উপস্থাপন করার জন্য আমরা বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা, ছাত্র নেতা, বুদ্ধিজীবী, সাংস্কৃতিক কর্মীসহ সচেতন মহলের সাক্ষাতকার ছাপাবো। এই উদ্যোগের অংশ হিসাবে গত সংখ্যায় (রাহুমুক্তি সংখ্যা) আমরা গণতান্ত্রিক বিপ্লবী জোটের অন্যতম কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী জনাব বদরুদ্দীন উমরের সাক্ষাতকার ছেপেছিলাম। এ সংখ্যায় তিনজন বিশিষ্ট ছাত্র নেতার সাক্ষাতকার ছাপানো হলো]

প্রশ্নসমূহ নীচে দেয়া হলোঃ-
(ক) পার্বত্য চট্টগ্রামে সংখ্যালঘু পাহাড়ি জনগণের যে অস্তিত্ব রক্ষার সংগ্রাম চলছে তাকে আপনার সংগঠন কিভাবে মূল্যায়ন  করে ? এ সমস্যার ব্যাপারে আপনাদের সংগঠনের কি কর্মসূচী আছে?
(খ) পার্বত্য এলাকায় যে ব্যাপক সামরিকীকরণ এবং সরকারী পৃষ্ঠপোষকতায় গোপন সার্কুলারের মাধ্যমে যে বিপুল অ-পাহাড়ি পুনর্বাসন করা হচ্ছে সে সম্পর্কে আপনাদের কী বক্তব্য?
(গ) পাহাড়ি ছাত্ররা বরাবরই তাদের দাবী দাওয়া নিয়ে জাতীয় রাজনৈতিক মূল স্রোতধারায় মিলিত হবার প্রচেষ্টা চালিয়ে আসছে। তাদের আন্দোলনের প্রবাহকে জাতীয় পর্যায়ে নিয়ে আসার ব্যাপারে আপনারা কী ভূমিকা নিতে পারেন ?
(ঘ) বিদ্যমান রাষ্ট্রযন্ত্রের অধীনে সংখ্যালঘু জাতিসত্তাসমূহের আন্দোলনের ফলাফল কি হতে পারে বলে আপনি মনে করেন? তাদের স্বায়ত্তশাসনের দাবীর সাথে আপনি কি একমত ?
(ঙ) পার্বত্য চট্টগ্রাম সমস্যা একটি অন্যতম জাতীয় সমস্যা। অথচ এ সমস্যা সমাধানের জন্য জাতীয় রাজনৈতিক দলসমূহ দুর্ভাগ্যজনকভাবে উদাসীন। এর সমাধানের দাবী শুধু সেখানকার অধিবাসীদের আন্দোলনের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলে চলবে না। তাই এ ব্যাপারে সক্রিয়ভাবে এগিয়ে আসার জন্য আপনাদের ভূমিকা সম্পর্কে মন্তব্য করুন।

পাহাড়ি জনগণের সাথে দেশের ব্যাপক অ-পাহাড়ি জনগণের কোন বিরোধ নেই।
ফয়জুল হাকিম, সভাপতি, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন

ক) পার্বত্য চট্টগ্রামে সংখ্যালঘু পাহাড়ি জনগণের যে অস্তিত্ব রক্ষার সংগ্রাম চলছে তাকে আমাদের সংঠন, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন, ন্যায়সঙ্গত বলে মনে করে। এ সমস্যার ব্যাপারে আমাদের সংগঠনের কর্মসূচী মূলতঃ আমাদের রাজনৈতিক জোট, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী জোটের নেতৃত্বে জাতিগত সংখ্যালঘু ও সংখ্যালঘু জাতিসত্তার আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকারের প্রশ্নে সমর্থন ও সংহতি প্রকাশ করেছে।

খ) পার্বত্য এলাকায় যে ব্যাপক সামরিকীকরণ এবং সরকারী পৃষ্ঠপোষকতায় গোপন সার্কূলারের মাধ্যমে যে বিপুল অ-পাহাড়ি পুনর্বাসন করা হচ্ছে সে সম্পর্কে আমরা অবহিত। এ কাজ এ দেশের শাসক সংখ্যালঘু লুটেরা ধনিক-বণিক শ্রেণীর সরকারসমূহ করে আসছে উগ্র জাতীয়তাবাদের আবরণে এবং পাহাড়ি জনগণের উপর শোষণ-শাসন বলব রাখতে অ-পাহাড়িদের ধারা অব্যাহত রেখে পাহাড়ি জনগণের সাথে অ-পাহাড়ি জনগণের “বিরোধ” সৃষ্টির মাধ্যমে। এই “বিরোধ” কে সামনে রেখে এরা সামরিকীকরণের প্রক্রিয়াকে গ্রহণযোগ্য করবার অপচেষ্টায় লিপ্ত। আমরা, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন, মনে করি পার্বত্য এলাকাসহ দেশের যে-কোন স্থানে সামরিকীকরণের বিরোধীতা করা ছাড়া গণতান্ত্রিক সংগ্রাম এক কদমও অগ্রসর হতে পারে না।

আমরা পার্বত্য এলাকায় বিপুল অ-পাহাড়িদের তথাকথিত পুনর্বাসনের প্রতারণার বিরোধীতা করি। কেননা অ-পাহাড়ি, সমতলের ব্যাপক সংখ্যাগরিষ্ট জনগণের উপর এই সংখ্যালঘু লুটেরা ধনিক-বণিক শ্রেণী ও তাদের সরকারসমূহ এক স্বৈরতান্ত্রিক, শোষণ-নির্যাতনমূলক শাসন ব্যবস্থা কায়েম রেখে বাঙালি স্বার্থরক্ষার নামে গরীব বাঙালিদের গিনিপিগ হিসেবে ব্যবহার করছে।

গ) পাহাড়ি ছাত্রদের দাবী-দাওয়া নিয়ে জাতীয় রাজনৈতিক মূল স্রোতধারায় মিলিত হতে গেলে দেশের জনগণের, বিশেষতঃ শ্রমজীবী জনগণের দুশমন, সাম্রাজ্যবাদ ও বিদেশী শক্তির খেদমতগার দেশীয় লুটেরা ধনিক-বণিক শ্রেণী, তাদের সরকার ও রাজনৈতিক দলসমূহের বিরুদ্ধে সামরিক-বেসামরিক আমলাতন্ত্রের বিরুদ্ধে, মৌলবাদী-সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে সংগ্রামের কর্মসূচী গ্রহণ করতে হবে। পাহাড়ি জনগণের সাথে ব্যাপক অ-পাহাড়ি জনগণের কোন বিরোধ নেই। শাসক গোষ্ঠী সৃষ্ট “বিরোধ”কে সামনে এনে ব্যাপক জনগণকে বিভ্রান্ত, প্রতারিত ও বিভক্ত করছে। মেহনতি জনগণের মুক্তির রাজনীতিই বাংলাদেশের জনগণের মূল স্রোতধারার রাজনীতি। এ রাজনীতির অংশীদার বাঙালি শ্রমজীবী জনগণ ও পাহাড়ি শ্রমজীবী জনগণ। শ্রমজীবী জনগণের রাজনৈতিক শক্তির বিকাশে আমরা সক্রিয় রয়েছি।

ঘ) বিদ্যামান রাষ্ট্রযন্ত্রের অধীনে সংখ্যালঘু জাতিসমূহের আন্দোলনকে মেহনতি জনগণের মুক্তির রাজনীতির অধীনস্ত করবার দক্ষতা অর্জনের মধ্য দিয়েই আন্দোলনের ফলাফল সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য অর্জনে সক্ষম হবে। সংখ্যালঘু জাতিসমূহের স্বায়ত্তশাসনের দাবীর সাথে আমরা একমত।

ঙ) পার্বত্য চট্টগ্রাম সমস্যা একটি অন্যতম জাতীয় রাজনৈতিক সমস্যা। এর সমাধানের দাবী সক্রিয়ভাবে এগিয়ে নেওয়ার জন্য কার্যকর ভূমিকা গ্রহণের বিষয়টি উপরেই বলা হয়েছে।

পার্বত্য চট্টগ্রামের সংখ্যালঘু জাতিসমূহের এই সমস্যা শুধু তাদের সমস্যা নয়। এটি একটি অন্যতম জাতীয় সমস্যা।
বেলাল চৌধুরী, সভাপতি, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট।

ক) পার্বত্য চট্টগ্রাম ও পাহাড়ি জনগণ আমাদের দেশ এবং জনগণের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। দীর্ঘ দিন ধরে পাহাড়ি জনগণ তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্যে লড়াই করছে। আমরা তাদের ন্যায়সংগত সংগ্রামকে সমর্থন করি। আমরা মনে করি, পার্বত্য চট্টগ্রামের সমস্যা সর্বতোভাবে রাজনৈতিক। পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর স্বতন্ত্র রাষ্ট্রীয় সুযোগ সৃষ্টিসহ তাদের সকল সমস্যার রাজনৈতিক সমাধানের উপায় খুজে বের করা দরকার। কিন্তু অতীতের বিভিন্ন সরকার পাহাড়ি জনগণের স্বকীয় বৈশিষ্ট্যসমূহ বিবেচনায় না রেখে, গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গির আলোকে সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ না নিয়ে স্বৈরতান্ত্রিক পন্থা অনুসরণ করার ফলে সমস্যা ক্রমাগত জটিল রূপ ধারণ করেছে।

আমাদের জনগণ দীর্ঘ সংগ্রামের মধ্য দিয়ে এরশাদের স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে গৌরবমণ্ডিত বিজয় অর্জন করেছে। বর্তমানে নির্বাচিত সরকার দেশ পরিচালনা করছে। অতীতের ভ্রান্ত দৃষ্টিভঙ্গি ও শক্তি প্রয়োগের পথ পরিহার করে পার্বত্য চট্টগ্রাম সমস্যার বাস্তব সমাধানের লক্ষ্যে বর্তমান নির্বাচিত সরকার ইতিবাচক পদক্ষেপ গ্রহণ করবে-এটিই আমাদের সংগত প্রত্যাশা। 

আমরা আমাদের সংগঠন, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের নিজস্ব কর্মসূচী ও গণতান্ত্রিক ছাত্র ঐক্যের ১০ দফা কর্মসূচীতে পার্বত্য চট্টগ্রাম সমস্যার রাজনৈতিক সমাধানের দাবী জানিয়েছি।

খ) আমরা পার্বত্য চট্টগ্রামে সামরিক তপরতার নিন্দা করি। অগণতান্ত্রিকভাবে পার্বত্য এলাকায় অ-পাহাড়ি জনগণের পুনর্বাসন প্রক্রিয়ারও আমরা বিরোধীতা করি। আমরা মনে করি, দমননীতি কিংবা দুরভিসন্ধিমূলক পদক্ষেপ পাহাড়ি এবং অ-পাহাড়ি জনগণের মধ্যে মানসিক বিচ্ছিন্নতা এবং বৈরী সম্পর্ক তৈরি করছে।

গ) জাতীয় রাজনীতির মূল স্রোতধারায় মিলিত হবার পাহাড়ি ছাত্রদের এই প্রচেষ্টাকে আমরা বরাবরই স্বাগত জানিয়ে আসছি। আমরা আশা করি ভবিষ্যতে তাদের এই প্রচেষ্টা আরও শক্তিশালি হবে এবং সকল গণতন্ত্রকামী শক্তি তাদের সহায়তা যোগাবে। 
আমরা সাংগঠনিকভাবে, ঐক্যবদ্ধ ছাত্র আন্দোলনের ক্ষেত্র থেকে এবং পাহাড়ি ছাত্রদের সাথে থেকে তাদের এই প্রচেষ্টাকে আরও শক্তিশালী করার জন্য সম্ভাব্য সহযোগীতা প্রদানে আগ্রহী।

ঘ) পাহাড়ি জনগণের স্বায়ত্তশাসনের দাবীর সাথে আমরা একমত পোষণ করি। আমরা মনে করি বিদ্যামান রাষ্ট্র কাঠামোর অধীনে সংখ্যালঘু জাতিসমূহের স্বায়ত্তশাসনের দাবী মেনে নিয়ে তাদের সমস্যা সমাধান করা সম্ভব।

ঙ) আমরা মনে করি পার্বত্য চট্টগ্রামের সংখ্যালঘু জাতিসমূহের এই সমস্যা শুধু তাদের সমস্যা নয়। এটি একটি অন্যতম জাতীয় সমস্যা। সুতরাং এটি সমাধানের জন্য সারা দেশের জনগণ বিশেষ করে দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর সক্রিয় ভূমিকা রাখা উচিত। অথচ দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমরা লক্ষ্য করেছি, বাংলাদেশের বড় বড় রাজনৈতিক দল যারা অতীতে রাষ্ট্র ক্ষমতায় ছিল ও বর্তমানে আছে তারা এ সমস্যা সমাধানে কোন পদক্ষেপ নেয়নি। শুধু তাই নয়, বিভিন্ন সময়ে তাদের গৃহীত ভুল পদক্ষেপের কারণেই এ সমস্যা আরও জটিল হয়েছে। পাহাড়ি জনগণের এ সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে সক্রিয়ভাবে এগিয়ে আসার জন্যে আমরা এ দেশের সকল বাম-প্রগতিশীল রাজনৈতিক শক্তিগুলির প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি। আমরা এ ব্যাপারে সব সময় সক্রিয় ভূমিকা পালন করে যাব।

এই সমস্যার সমাধান খুব কঠিন বলে মনে করি না।
নাসিরুদ্দোজা, সভাপতি, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন

ক) পার্বত্য চট্টগ্রামের জাতিগত সংখ্যালঘু গোষ্ঠী দীর্ঘ দিন যাব তাদের ন্যায়সংগত দাবী দাওয়া নিয়ে যে সংগ্রাম করে আসছে আমাদের সংগঠন তাদের দাবী-দাওয়ার সাথে একমত। আমরা মনে করি, বাংলাদেশের ভৌগলিক সীমানার মধ্যে বসবাসরত সকল জাতি-গোষ্ঠীর নিজস্ব সংস্কৃতি ও বিকাশের পথ উন্মুক্ত থাকা উচিত। একটি বৃহ জাতি-গোষ্ঠী দ্বারা ভিন্ন সংখ্যালঘু জাতি-গোষ্ঠীসমূহের উপর সামাজিক, অর্থনৈতিক এবং সাংস্কৃতিক সম্প্রসারণ বা কী নিপীড়ন আজকের যুগে কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের সাথে আমরা লক্ষ্য করেছি বাংলাদেশের পার্বত্য অঞ্চলে বসবাসরত সংখ্যালঘুদের উপরে নির্যাতন পরিচালনা করা হচ্ছে। যা অত্যন্ত নিন্দনীয়।

আমাদের সংগঠন এই সমস্যার ব্যাপারে অত্যন্ত সচেতন এবং সমগ্র জাতিকে এ ব্যাপারে সচেতন করে তুলতে উদ্যোগী ভূমিকা পালন করছে। এ প্রথম বারের মত আমাদের সংগঠনের ২১তম জাতীয় সম্মেলনে সংখ্যালঘু জাতি-গোষ্ঠীর সমস্যা এবং তার সমাধান প্রসঙ্গে একটি বিশেষ প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে। তাছাড়া জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে পাহাড়ি ছাত্রদের সমস্যাসমূহ তুলে ধরার জন্য আমরা সব সময় সক্রিয়।

খ) পার্বত্য অঞ্চলে দেশের অন্যান্য এলাকার মত সাধারণ নাগরিকরা বসবাস করলেও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশে এই অঞ্চলের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার অত্যন্ত সীমিত। দীর্ঘ দিন ধরে এই অঞ্চলে চলছে অলিখিত সামরিক আইন। আজকের এই গণতান্ত্রিক দিনে যা কখনোই গ্রহণযোগ্য নয়। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই।

গ) পাহাড়ি ছাত্রদের সংগঠন “বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ” দীর্ঘ দিন ধরে তাদের দাবী-দাওয়া নিয়ে আন্দোলন পরিচালনা করে আসছে। এটি পার্বত্য অঞ্চলের পাহাড়ি ছাত্রদের একটি আঞ্চলিক সংগঠন। আমরা তাদের ন্যায়সঙ্গত আন্দোলনে সবসময় সহযোগীতা প্রদান করেছি।
তাদের কার্যক্রম এবং দাবী-দাওয়াসমূহ জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তুলে ধরার জন্য সব সময় সচেষ্ট। আমাদের প্রচেষ্টা এবং সহযোগিতার মধ্য দিয়ে ইতিমধ্যেই এই সংগঠনটি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে পরিচিতি লাভ করেছে এবং সারা বিশ্বের ছাত্র সমাজের একমাত্র সংগঠন IUS -এর Consultative সদস্য পদ অর্জন করেছে।

ঘ) সংখ্যালঘু জাতিসত্তার স্বাভাবিক বিকাশ এবং উন্নয়নের জন্য আমাদের ভৌগলিক সীমানার মধ্যেই সাংবিধানিকভাবে এই অঞ্চলের স্বায়ত্তশাসন দেওয়া যেতে পারে। আন্দোলনরত গোষ্ঠীসমূহ এবং আমাদের সরকার আন্তরিক গঠনমূলক উদ্যোগ গ্রহণ করলে এই সমস্যার সমাধান খুব কঠিন বলে আমরা মনে করি না।

ঙ) এটি একটি অত্যন্ত দুঃখজনক সত্য এ ধরনের একটি জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আমাদের রাজনৈতিক দলগুলো দুর্ভাগ্যজনকভাবে উদাসীন। অবশ্য শুধু এ বিষয়েই নয় আরো অনেক অনেক জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্বন্ধে রাজনৈতিক দলগুলো কেবল যে উদাসীন তাই নয় তারা এ সমস্ত বিষয়ে কোন কিছুই জানেন না এবং চিন্তাও করেন না। তারা শুধু চিন্তা করেন কিভাবে ক্ষমতায় যাওয়া যায় এবং ক্ষমতায় গেলে অস্ত্র দিয়ে হোক আর মাস্তান দিয়ে হোক কিভাবে ক্ষমতায় টিকে থাকা যায়। এ পর্যন্ত কেবল আমাদের সংগঠনই এ বিষয়কে জাতীয় পর্যায়ে নিয়ে এসে জাতীয় সম্মেলনে একটি বিশেষ প্রস্তাব গ্রহণ করেছে।

---------------------------------------------------------------
শ্যেন চোখের দৌরাত্ম্য
আমার চারপাশ ঘিরে থাকে অনুসন্ধানী দৃষ্টি। চোখ মুখ হাতে পায়ে বেঁধে রাখে সে আমার মুক্ত বিচরণে। আমার হৃপিণ্ড বন্ধ হয়ে আসে এভাবে। অন্যায় তো কিছুই করছি না। অন্যায়ের প্রতিবাদ করছি কারণ এর প্রতিকার চাই আমি। তাই কি পিছু নেয় ঐ শ্যেন চোখ ? দোহাই, অর্থহীন এ চর্চ্চা। এভাবে নয়। স্বাধীন মত প্রকাশের মাধ্যমেই তুমি দ্যাখে নিও আমার ভেতর বাহির।
-------------------------------------------------------------


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন